বেলা বলছে, ২০০৫ সাল থেকে যান্ত্রিকভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে স্থানগুলোর সৌন্দর্য হারিয়েছে; ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটনশিল্প।
সিলেটের কোয়ারিগুলো থেকে পাথর তোলা বন্ধসহ তিন দাবিতে ডিসি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি-বেলা। অন্য দুই দাবির মধ্যে আছে, জাফলংয়ে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা-ইসিএ নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও পাথর ভাঙার মেশিন নিয়ন্ত্রণ।বুধবার দুপুরে তাদের এ স্মারকলিপি দেওয়া কথা জানিয়েছেন বেলা’র সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতার। এতে বলা হয়েছে, সিলেটের পিয়াইন, ডাউকী, ধলাই ও রাংপানি নদী, বিছানাকান্দি, উৎমাছড়া, লোভাছড়া ও ভোলাগঞ্জ পাথরের উপর দিয়ে প্রবাহিত স্ফটিক পানির জন্য অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থান। যা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত পর্যটনস্থল। ২০০৫ সাল থেকে যান্ত্রিকভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে স্থানগুলো সৌন্দর্য হারিয়েছে; ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটনশিল্প। তাছাড়া বেপরোয়া পাথর উত্তোলনের কারণে সিলেটে ২০০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০৬ জন শ্রমিক নিহত ও আহত হয়েছেন ৩৮ জন।
এছাড়া পাথর পরিবহনের ফলে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক ক্ষতগ্রস্ত হচ্ছে এবং ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।
এতে প্রাণহানির সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি অসংখ্য মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করছেন।
বেলার স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, উচ্চ আদালতের রায় এবং সরকারের সময় উপযোগী সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো ২০২০ সালের ৮ জুন সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত আটটি পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিত করে এবং পাথর উত্তোলন বন্ধ করে।ফলে সিলেটের পিয়াইন ও ডাউকী নদীসহ পাথর মহাল হিসেবে পূর্বে ঘোষিত নদী, ছড়া ও প্রকৃতিতে প্রাণ ফিরতে শুরু করে। পর্যটকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। কিন্তু গত ৫ অগাস্ট থেকে পাথরখেকোরা নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে পাথর উত্তোলন শুরু করে; যা এখন পর্যন্ত চলমান। এছাড়া পাথর উত্তোলনকারীরা নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থে আদালতের নির্দেশে পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন ঘোষিত পিয়াইন, ডাউকী ও ধলাই নদী এবং সিলেটের অন্যান্য স্থানে পাথর উত্তোলনের অনুমতি দিতে সরকারের ওপর অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে বলেও স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে।